শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কাজল | গাজীপুর, বাংলাদেশ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বন বিভাগের পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানের শেষ পর্যায়ে হামলার ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিলসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কাফিলাতলি ও ইজ্জতপুর বাজার এলাকায় এই সহিংস ঘটনা ঘটে।
সকালে শুরু হওয়া অভিযানে কাফিলাতলি এলাকার বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর ইজ্জতপুর বাজারের রেলগেটের পশ্চিম পাশে মাসুদের বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণার সময় মাসুদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে ভেকুর চালকদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে দুই ভেকু চালক, একজন বনকর্মী, স্থানীয় দুইজন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিলসহ প্রশাসনের আরও চারজন আহত হন।
ঘটনাপ্রবাহ:
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, অভিযানের শেষ দিকে মাসুদ ও তার সহযোগীরা একটি পরিকল্পিত গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। এক নারী তার ঘর ভাঙার খবর শুনে জ্ঞান হারালে মাসুদ ও তার সঙ্গীরা “মাইরালছে রে মাইরালছে!” বলে উপস্থিত জনতাকে উত্তেজিত করে। এর পরেই হামলার সূত্রপাত ঘটে।
প্রশাসনের বক্তব্য:
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, “এই ঘটনায় আমিসহ উপজেলা প্রশাসনের পাঁচজন আহত হয়েছি। আমরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছি। ইতোমধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “অবৈধ দখল উচ্ছেদে প্রশাসন সবসময় আন্তরিক। তবে এ ধরনের সহিংস ঘটনা দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয় পরিস্থিতি:
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় মাসুদসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযানের সময় উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় জনজীবনে অস্থিরতা নেমে আসে।
পর্যবেক্ষণ:
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযানের সময় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, জনসাধারণের মধ্যে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরির প্রবণতা প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য: এ ধরনের সহিংস ঘটনা যে ভয়াবহ সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষতির কারণ হতে পারে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলের ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।