শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা সিটিসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট এ যেন উন্নয়নের বড়ো বাঁধা। জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। কিশোরগঞ্জে মাদক বিরোধী সমাবেশ নগুয়া বটতলা এলাকায় ৮ নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত। খুলনা কেএমপির খালিশপুর থানা পুলিশ চোরাই ইজিবাইকসহ ১ চোর আটক করেছে। আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে ৬০ পিস ট্যাপেলসহ নারী আটক। ঘর পুড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধা মহিলাকে নতুন ঘর উপহার দিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক পিপিএম। সড়ককে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে জীবননগরে বাস,ট্রাক,মাহিন্দ্র,মাইক্রো,ইজিবাইক/থ্রি হুইলার চালকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ। মুন্সিগঞ্জে সাবেক এমপিসহ ৩২০ জনের নামে এফআইআরভুক্ত নতুন মামলা। থানায় আগত সেবা প্রত্যাশীদের তাৎক্ষণিক পুলিশী সেবা পৌঁছে দিতে প্রতিটি থানায় QRT (Quick Response Team) গঠন ও মোটর সাইকেল প্রদান। প্রসঙ্গ:ঢাকা সিটি করপোরেশন,উত্তর সিটি-দক্ষিণ সিটি, হয়তো একটি করা হোক, নয়তো ভেঙ্গে চারটি। মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ১ জন আহত।

টার্গেটকারী ডাকাত ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

সৈয়দ আলম :টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি:
র‌্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন কক্সবাজার জেলায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই এর সাথে জড়িত চক্রগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ পর্যটন নগরীতে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে সার্বক্ষনিকভাবে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।

চলমান পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার ফলে সারা দেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আগমন করে। কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবন এলাকার একটি ছিনতাইকারী চক্র উক্ত পর্যটকদের টার্গেট করে সর্বস্ব ছিনতাই ও পর্যটকদের আটক করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছে মর্মে তথ্য পায় র‍্যাব-১৫। উক্ত তথ্যের আলোকে গত ০৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ০৬ জন ছিনতাইকারী’কে গ্রেফতারপূর্বক থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব-১৫।

কক্সবাজার জেলার সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় একটি ছিনতাইকারী চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে পর্যটকদের ছিনতাই ও জিম্মি করে টাকা আদায় সংক্রান্তে মর্মে তথ্য পায় র‍্যাবের একটি গোয়েন্দা দল। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারপূর্বক আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র‌্যাব-১৫ এর একটি গোয়েন্দা দল ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

৪। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার হোটেল প্যারাডাইস প্রসাদ এর বিপরীত পাশের ঝাউবাগান ভিতর একটি ডাকাত/ছিনতাইকারী দল ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত চক্রটি র‌্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ দিক-বিদিক দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের ২/৩ জন সহযোগী কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের হেফাজত হতে ০৪টি ছুরি, ০২টি স্মার্ট ফোন, ১টি বাটন ফোন, ০১টি হাত ঘড়ি, নগদ ৩,১৬৫/- (তিন হাজার একশত পঁয়ষট্টি টাকা) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রটির বিস্তারিত পরিচয়-

১) মোঃ ওমর ফারুক (১৯), পিতা-মোঃ যকির, মাতা-খালেদা বেগম, সাং-সমিতি পাড়া, ০১নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।
২) মোঃ আবুল হোসাইন (১৯), পিতা-মোঃ নুরুল বশর, মাতা-হাজেরা খাতুন, সাং-মধ্যম নুনিয়ারছড়া, ০২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।
৩) মোঃ মোবারক উল্ল্যা (২৪), পিতা-কালামিয়া, মাতা-আমেনা খাতুন, সাং-খুরুশকুল, উত্তর মামুন পাড়া, ০৫নং ওয়ার্ড, খুরুশকুল ইউনিয়ন।
৪) মোঃ শাহজাহান (২২), পিতা-মৃত মদন আলী, মাতা-মসুরা খাতুন, সাং-খুরুলিয়া, মাষ্টারপাড়া, ০৪নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউনিয়ন, সর্বথানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।

চলমান পর্যটন মৌসুম উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা এবং অন্যান্য মুল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় পর্যটকদের আটকে রেখে পরিবারের কাছে বিশাল অংকের মুক্তিপণ আদায় করতো বলেও তারা স্বীকার করে।

উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।